নিজের আসনে ইভিএমের ‘জোর দাবি’ আন্দালিব রহমান পার্থর

বিএনপিসহ জোটের শরিকরা বিরোধী হলেও নিজের ভোলা-১ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোট নেয়ার ব্যবস্থা করতে জোর দাবি করেছেন আন্দালিব রহমান পার্থ। এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার কাছে লিখিত আবেদনও করেছেন বিজেপির চেয়ারম্যান।

ওই আসনে ইভিএমে ভোট হলে প্রয়োজনে সব খরচ দিতেও রাজি ২০ দলীয় জোটের নেতা। শুক্রবার সিইসি বরাবর এই চিঠি দেয়া হয়। এতে পার্থ লেখেন, তার আসনে ইভিএম না দিলে সেটা বৈষম্যমূলক আচরণ হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে মোট ছয়টি সংসদীয় আসনে ইভিএমে ভোট নেয়া হবে। এগুলো হলো ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, খুলনা-২, রংপুর-৩, চট্টগ্রাম-৯ এবং সাতক্ষীরা-২।

বিএনপি মনে করে ইভিএমে ভোট নেয়া কারচুপির চেষ্টা। তাদেরকে হারাতেই এই যন্ত্রটি ব্যবহার করতে চাইছে। ইভিএম ব্যবহার করলে ইসির বিরুদ্ধে মামলার হুমকিও এসেছে বিএনপির নতুন জোট ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে।
তবে জোটের অবস্থানের বিপরীতে গিয়ে পার্থ তার আবেদনে ২ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিকে জবাব দেয়ারও অনুরোধ করেন।

চিঠিতে বলা হয়, ‘আমি জোর দাবি জানাচ্ছি এবং এই ইবিএম ব্যবহার এর জন্যে সরকারী নিয়ম অনুযায় খরচ বহন করতে ও আমি রাজি আছি।’

‘যদি ব্যালট পেপার চালু করতে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এর আঙ্গুলের ছাপে যেই ২৫ শতাংশ প্রক্রিয়াকরণ করা আছে এইটাকে কামিয়ে পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ নিয়ে আসে তাহলে আরো স্বচ্ছতা আসবে।’

২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিরোধিতার বিষয়টিও চিঠিতে তুলে ধরেন পার্থ। বলেন, ভোলার জনগণের দাবিকে সামনে রেখেই এই অনুরোধ জানাচ্ছেন তিনি।

বিজেপি নেতা লেখেন, ‘বিভিন্ন পত্রিকা সূত্রে জানতে পারলাম যে নির্বাচন কমিশন আপাতত ছয়টি আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করবে। যদিও আরো অনেক আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করার সক্ষমতা ও জনবল নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। এ অবস্থায় আমার নির্বাচনী আসনে ইভিএম এ ভোট গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

আওয়ামী লীগ ইভিএম এর পক্ষে এবং এই বিষয়টি উল্লেখ করে বিজেপি নেতা লেখেন, ভোলা সদর আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নীতিগতভাবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন না।’